নিজের এবং তার চালচোর জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতা ঢাকতে, উনি এখন বিভিন্ন কেরামতি দেখাবেন। তাই খাদ্যসচিবের পর স্বাস্থ্যসচিবকে বদল করেছেন। উনিই দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এই সংকটের সময়ও যিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলছেন রাজনীতি হচ্ছে।আর বলছেন বিরোধীরা রাজনীতি করছে।
এই লকডাউনের সময়েও ITBP ১২০০০ফুট উপরে জোজিলা পাস থেকে বরফ সরিয়ে ৯০০ ট্রাক ভর্তি অত্যাবশ্যকীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছে কার্গিলের দেড়লক্ষ মানুষের জন্যে …. During the ongoing lockdown, the Indo-Tibetan Border Police (ITBP) has ensured a safe passage for over 900 trucks carrying essential supplies, from the icy heights of Zoji …
এক শ্রেণীর মানুষজন আজ অবধি লকডাউনকে গুরুত্ব দেয়নি। উপরন্তু যে সহনাগরিকরা নিয়ম মেনে কোভিডের সাথে লড়তে চাইছে তাদের গ্রামে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে।মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্ডিপুর গ্রামের ঘটনা। আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। ।
টিকিয়াপাড়া থেকে তেলিনিপাড়া,মেটিয়াবুরুজ থেকে মালদা রাজ্যের সর্বত্র একই চিত্র, এই শ্রেণীর মানুষদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বললেই ঝামেলা বাধাচ্ছে। প্রশাসন নির্বিকার। মুখ্যমন্ত্রী অন্তরালে গিয়ে চুপ করে বসে আছে। রাজ্যের এই কঠিন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী, উনিই গৃহমন্ত্রী, উনিই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওনার কোন দেখা নেই।
একদিকে বাঙালির আবেগের রবীন্দ্রনাথ আর উল্টোদিকে স্বঘোষিত বাংলার গর্ব সাজতে চেষ্টা করা মুখ্যমন্ত্রী,বিকৃতমনা রোদ্দুর ও তৃণমূলের মদতপুষ্ট বাংলাপক্ষ ও রবি ঠাকুরকে বুর্জোয়া কবি বলা বামপন্থী, এরা শুধু রবি ঠাকুরকে নয়, গোটা বাঙালি সমাজকেই অপমান করেছে। (কথাগুলো রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন বলেছিলাম কিন্তু ফেসবুকে এখন পোস্ট দিতে সক্ষম হলাম।)
বিশ্বের সবত্রই তো কোন রুগী কোভিডে মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছে ঐ রুগীর চিকিৎসক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা হচ্ছেনা কেন? মুখ্যমন্ত্রী কি মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের কোভিড চিকিৎসকরা এতটাই অনুপযুক্ত, যে তারা নিজের রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন না?? মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন আমেরিকার বিশিষ্ট প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসক ডঃ ইন্দ্রনীল বসু রায়
তরুণ বাঙালি বিজ্ঞানীরা তৈরী করলো টেস্টিং কিট, আমরা বাঙালিরা গর্বিত। আসাম, ত্রিপুরা সরকার ইতিমধ্যেই অর্ডার করলেও, ২৪ ঘন্টা হয়ে গেলেও অর্ডার করেনি পশ্চিমবঙ্গ। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারই বারবার টেস্ট কিট নিয়ে সমস্যার কথা বলছে।
৪ই মে মুর্শিদাবাদে আক্রান্তের সংখ্যা যা বলা হলো তারপরদিন তার অর্ধেক আক্রান্ত বলা হলো … পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সামান্য উন্নতি করার করলেও এখনও পর্যন্ত তথ্য চেপে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের করোনা টেস্টিং বিহারের থেকেও কম। প্রথমে করোনা ফানুস। লকডাউনটাকে তো মুখ্যমন্ত্রীই সিরিয়াসলি ইমপ্লিমেন্ট করেনি। উনিই তো সংক্ৰমন ছড়িয়েছেন।
উত্তর বঙ্গের মতো একটা বিরাট এলাকার COVID সংক্ৰমন মোকাবিলা করার জন্যে মাননীয়া একজন চোখের ডাক্তারকে দায়িত্ব দিয়েছেন,সুশান্ত রায় এর ব্যবহারে সেখানের ডাক্তাররা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সবার মধ্যে ঝগড়া লাগাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যত COVID পজেটিভ ধরা পড়ছে সবাইকে উনি শিলিগুড়িতে নিয়ে আসছেন। তাহলে COVID হাসপাতালের যে তালিকা মুখ্যমন্ত্রী ঘটা করে …
মহারাষ্ট্রে ২৪০০ পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছে, মহারাষ্ট্রের সরকার যোগাযোগ করতে চাইলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোন যোগাযোগ করছে না… কর্ণাটকের পর মহারাষ্ট্রে সরকার ও বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে চাইলেও যোগাযোগ করছেনা এরাজ্যের সরকার… কর্ণাটকের পর মহারাষ্ট্রে সরকারও বলছে পশ্চিমবঙ্গের সরকার Incommunicative সরকার…
ভারত সরকার যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে করোনার লড়াইয়ে তখন উনিই দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি করোনাকে গুজব বলেছিলেন …. আপনি যতই এলোমেলো কথা বলে অন্যকে দোষ দিতে চেষ্টা করুন, একথা আমরা ভুলবোনা।
পরিযায়ী শ্রমিক ও ভিন্নরাজ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়া বাঙলিদের ঘরে ফেরাতে কি আদৌ উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ সরকার? এই চিঠি কিন্তু অন্য কথা বলছে !!!!!
মুখ্যমন্ত্রী COVID মোকাবিলার দায়িত্ব কাকে দিয়েছেন দেখুন? উনি কি সত্যিই সিরিয়াস এই মহামারী নিয়ে?কে এই সুকুমার মুখার্জি?
গত তিরিশ দিন ধরে সকল রাজ্যবাসীই দেখলো উনিই সর্বেসর্বা, আজ যেই সারা দেশ ডেথ অডিট কমিটি শুনে হাসাহাসি করছে তখন উনি বলছেন উনি কিছুই জানেন না। মানুষের জীবনমরণ নিয়ে খেলা করছেন। আজ বেমালূম অস্বীকার করছেন। উনি কিছু না জানলে, মুখ্য-স্বাস্থ্য-গৃহমন্ত্রী তিনটি পদ আগলে বসে আছেন কেন?