পরিবেশ রক্ষার নামে অসহায় মানুষগুলোর সাথে যা করেছিলো তা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটেনি।

Video Gallery


দুই যুগের উদ্বাস্তু জীবন শেষে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশ লাগোয়া সুন্দরবনের মরিচঝাঁপিতে শেষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।১৯৭৭ এ ক্ষমতায় এসেই জ্যোতিবাবুরা ভুলে গেলো প্রতিশ্রুতি। লাখ খানেক উদ্বাস্তুকে ফেরত পাঠালো দণ্ডকারণ্যে। কিন্তু হাজার চল্লিশেক তবু রয়ে গেলো মাটি কামড়ে। বাঘের কামড় খাবে, তবু দণ্ডকারণ্যে ফিরে যাবে না। দুর্গম দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে বসতি গড়লো তারা। সরকারকে সাফ জানিয়ে দিলো, কোনো সাহায্য লাগবে না, শুধু বাধা না দিলেই খুশি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তায় নিজেরাই স্কুল বসালো। স্বপ্ন দেখলো নতুন করে। জ্যোতি বসুর অহমে লাগলো এটাই। কোনো রকম সরকারী সাহায্য ছাড়া, পার্টির আনুকূল্য ছাড়াই একটা জঙ্গলে একদল অশিক্ষিত ছোটজাতের মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠছে এটা হয়তো তার মার্ক্সবাদের অলিখিত লঙ্ঘন। এবং এটা উদাহরণ হয়ে উঠলে লালদের জন্য ব্যাপক সমস্যা। নির্দেশ পাঠালেন, এদের জায়গা ছাড়তে হবে। ওজর দিলেন, এরা সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট করছে, বাঘের অভয়ারণ্য এদের কারণে বিপন্ন! পরিবেশ রক্ষার নামে অসহায় মানুষগুলোর সাথে জ্যোতি বসু ও তার পুলিশ যা করেছিলো তা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটেনি।