তিলোত্তমায় অনুষ্ঠিত হল বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী এবং জনজাতি গৌরব দিবস
- By : Anirban Ganguly
- Category : In News
কলকাতা: আজ মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম বীর বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী। এই উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ফাউন্ডেশন ও অঙ্কুরের যৌথ উদ্যোগে কলকাতার আইসিসিআর সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হল বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী এবং জনজাতি (Janajati) গৌরব দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা চক্র। আলোচনা সভায় বক্তারা ছিলেন, ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্দেশক তথা বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির অন্যতম সদস্য ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইন্সটিটিউট অব এশিয়ান স্টাডির নির্দেশক ডঃ স্বরূপ প্রসাদ ঘোষ, সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালি বিভাগের অধ্যাপক ঠাকুর প্রসাদ মুর্মু এবং রাষ্ট্রীয় কৃষি এবং গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শ্রী রমানাথ মুর্মু।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জনজাতি সমাজের অবদান নিয়ে বক্তব্য রাখেন ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি। সেইসঙ্গে স্কুলের পাঠ্যবই থেকে শুরু করে গবেষণা স্তর পর্যন্ত ভারতের জনজাতি সমাজের ইতিহাস নিয়ে বিশেষ কোনও বই নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি ক্ষোভ উগড়ে বলেন, “ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলি জনজাতিদের নামে কেবলমাত্র রাজনীতি করেছে এবং এই জাতির পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে দুর্গম এলাকায় জনজাতিদের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয় বলে দায় এড়িয়ে গেছে”।
পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে জনজাতি সমাজের জীবনযাত্রা এবং তাঁদের কর্মদক্ষতার বিষয়টি তুলে ধরেন অধ্যাপক ঠাকুর প্রসাদ মুর্মু সহ শ্রী রমানাথ মুর্মু। সেইসঙ্গে, ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে জনজাতি (Janajati) যে কতটা অঙ্গাঙ্গীকভাবে জড়িত বলে উল্লেখ করেন ডঃ স্বরূপ প্রসাদ ঘোষ। তিনি আরও জানান, জনজাতি সমাজ ভারতের অবিচ্ছিন্ন অংশ। অনুষ্ঠানে সকলের হাতে ভারতের “জনজাতি সমাজের বীরত্ব” নামক একটি পুস্তক তুলে দেওয়া হয়। সবশেষে অধ্যাপক ঠাকুর প্রসাদ মুর্মুর গলায় একটি সাঁওতালি গানের মধ্য দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষিত হয়।