হিটলারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন, বাংলায় নর্দমার রাজনীতি চলছে: Anirban Ganguly
- By : Anirban Ganguly
- Category : In News
কলকাতা: আইনের শাসন কই? গণতন্ত্র তবে কি শুধুই কাগুজে কথা হয়েই রয়ে যাবে! বাংলার প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Anirban Ganguly) কাছে রীতিমতো চিঠি লিখে সেটাই জানতে চাইলেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা ড: অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়৷
পুরভোটের হাজারও হিংসার মধ্যে হুগলির কোন্নগড়েও ভোটের আগের দিন ঘটেছিল হিংসার ঘটনা৷ যার জেরে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে হুগলির কোন্নগড় পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যকে৷ নিজের চিঠিতে সেটাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন অনির্বাণবাবু (Anirban Ganguly)৷ বলছেন, ‘‘অমানবিক, পাশবিক অত্যাচার বললেও বোধহয় কম বলা হয়৷ পশুরাও হয়তো পশুদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করে না৷ যেটা আমাদের বর্ষীয়ান নেত্রী কৃষ্ণাদির সঙ্গে করা হল৷ মারের চোটে তাঁর দুটো পা ভেঙে গিয়েছে৷ শরীরে হাড়গোড় ভেঙে দিয়েছে৷ একটি হাতে গ্যাংরিং দেখা দিয়েছে৷ আরেকটি হাতও ভাঙা৷ অক্সিজেন চলছে৷ মায়ের তুল্য মানুষকে এমন আক্রমণ৷ ৩০ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত৷’’
প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘তাঁর অপরাধ কি ছিল? তিনি বিজেপি করেন? ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছিলেন৷ পরাজয় আটকাতে তাই এভাবে হামলা?’’ খানিক থেমে যোগ করেছেন, ‘‘আমি তৃণমূল নেত্রীর কাছে সেই ছবিটাই তুলে ধরতে চেয়েছি৷ মনে করাতে চেয়েছি, বাম শাসনকালে অত্যাচারে জর্জরিত মমতাকে সহযোগিতা করেছিলেন আডবানীজি৷ বাংলার অপশাসন মুক্তির কথা শুনিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, বদলা নয়, বদল চায়৷ কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে টা কি? বিরোধী রাজনীতি করা যাবে না, এই বার্তাটা দিকে দিকে স্পষ্ট করে দিতে এমন অত্যাচার৷ যা হিটলার, স্ট্যালিনের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে৷’’
‘বাংলার পুলিশ শাসকের দলদাস’, অভিযোগের স্বপক্ষে বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্কের দাবি, ‘‘যারা কৃষ্ণাদিকে এভাবে নৃশংসভাবে অত্যাচার করল, তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ এক সপ্তাহ পরেও গ্রেফতার হয়নি৷ অভি়যোগ দায়ের হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি৷ উল্টে শাসকদলের স্থানীয় নেতারা বলছেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা৷’’
এই প্রসঙ্গেই টেনে এনেছেন বারাণসীর প্রসঙ্গ৷ ‘‘উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বড় বড় কথা বলা হচ্ছে৷ অথচ ওনার লজ্জা করে না৷ ক্ষমতা দখলে এতটাই মরিয়া যে বাংলায় রীতিমতো নর্দমার রাজনীতি নামিয়ে এনেছেন৷ যার জেরে বাংলায় শুধু নারী নির্যাতন বেড়েছে তাই নয়, বেড়েছে মহিলাদের ওপর রাজনৈতিক নির্যাতনও৷ তাই দিদির কাছে জানতে চেয়েছি, এর শেষ কোথায়?’’